শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আশরাফুল আজমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার দুপুরে শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ মিলানায়তনে এক পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার মোশাররফ হোসেন সোনা। সংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার নাম ভাঙ্গিয়ে পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল আজম ইউনিয়ন থেকে আসা, ভ্যান, রিক্সা ও বিভিন্ন যানবাহন থেকে জোরপুর্বক অর্থ আদায় করছে। এছাড়াও পৌর গোরস্থানের নামে নাগরিকদের কাছ থেকে চাঁদা-অর্থ আদায় করছে, যেখানে পৌরসভায় গোরস্থানের কোন অস্তিত্ব নেই।
পৌরবাসী কে জিম্মি করে কথায় কথায় নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেন মেয়র আশরাফুল আজম। সাম্প্রতি এডিস মশা নিধরেন জন্যে বরাদ্ধকৃত ১২ লাখ টাকা আসলেও তা যথাযথ ভাবে ব্যায় না করে আত্মসাতের চেষ্টা করছে। এমন নানা ঘটনার প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শিকদার মোশাররফ হোসেন সোনা ও তার পুত্র ওয়াহেদুজ্জামান ইকুর বিরুদ্ধে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার করেছে। মুলত মেয়র নিজের দুর্নীতিকে ধামাচাপা ও আওয়ামী লীগে কোন্দল সৃষ্টি করার ঘটনাগুলো আড়াল করার জন্যই ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আশরাফুল আজমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় তিনি বিভিন্ন রাজাকারদের সন্তানদের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করে আসছে। বিগত সংসদ নির্বাচনে মেয়র আওয়ামীলীগ প্রার্থী আব্দুল হাই এমপির বিরোধীতাও করেছিলেন।
একটি বে-সরকারী টির্ভি চ্যানেলে লাইভ সাক্ষাতকারে সরাসরি বিরোধীতা করেছিলেন। থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু একজন কুখ্যাত রাজাকার পরিবারের সন্তান। এতে দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে ও সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে আরোও জানানো হয় মেয়র কাজী আশরাফুল আজম একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, ভুমি দস্যু, চাঁদাবাজ। তার পুত্র কাজী রাজিবের অত্যাচারে সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছে।
সে পান বিক্রেতা থেকে শুরু করে গমের ডিলাল, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করে। এসবরে বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।